Thursday, July 2, 2015

সেই দিন ১৫-ই আগস্ট

মহামান্য শেখ মজিবুর রহমান কে নিয়ে আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান এর কন্ঠে কবি সুশান্ত বড়ূয়ার লেখা একক সিডি এ্যালবাম "সেই দিন ১৫-ই আগস্ট" আগস্টের শুরুতে বাজারে আসবে । কবি আর কলাকুশলীদের জন্য রইল শুভ কামনা ।

                                                                                                                  

বিঃদ্রঃ- আমাদের সবার পরিচিত কণ্ঠ বদরুল আহসান খান এর কন্ঠে সিডি করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ।

Sunday, June 28, 2015

একটি রাত সাথে জীবনের গল্প



 

একটি রাত সাথে জীবনের গল্প 

আমি গর্বিত পেয়েছি বলে তোমার মাঝে ঠাই
আমি উল্লাসিত মাতাল যুবক শান্ত হয়েছি
শুধু পেয়েছি বলে তোমার মাঝে ঠাই
তোমার মহান হৃদয় আমাকে মহান করেছে
তোমার হৃদয়ের ভালবাসা আমাকে শিখিয়েছে ভালবাসা
শিখিয়েছে কলমের ধারা ।

কাল রাতটি আমার কেটেছিল বদরুল দাদা ভাইয়ের বাসায় , আসলে আমি যে উনার এতো কাছে যেতে পারবো তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি । সারা রাত আমার সাথে বসে আড্ডা দিয়েছেন তিনি যেটা আমার মাঝে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।  নিজের জীবনের কিছু কথা আমার সাথে শেয়ার করেছেন আমাকে সামনের পথ গুলো চলতে উৎসাহ দিয়েছেন । আমি যে উনাদের বাসায় একজন অথিতি তা আমার মনেই হলনা । মনে হল উনারা আমার আপন দাদা দাদি , তাঁদের সাথে আনন্দ করতে করতে কোন ফাঁকে যে রাত কেটে গেলো কল্পনাও করতে পারলাম না ।  জানিনা সামনের জীবনে কি আছে তবে আমি এটাই বলতে পারি যে আমি আমার সাহিত্য জীবনের সঙ্গী পেয়েছি , আমার প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয় যে তিনি আমার সব চাইতে কাছাকাছি । সব চাইতে বড় কথা উনার কণ্ঠে আমার ১০ টি কবিতা আবৃত্তি হয় যাহা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার সাহিত্য জগতে আসা বেশি দিন নয় মাত্র ৮ মাস আর এই আট মাসেই আমার এই সফলতা জানিনা আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন কিনা । আমি যখন কবিতার জগতে আসি তখন আমার সাথে প্রথম পরিচয় হয় কবি  শিমুল শুভ্র দাদার  সাথে বাংলা কবিতা ডট কম এর মাধ্যমে আর সেখান থেকে আমার পথ চলা । যখন দেখতাম কবি গুরুরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে তখন আমার ও সেই আশা জাগল তাই রাত দিন বসে বসে তখন শুধু কবিতার পাতা ভরতাম আর পোষ্ট করতাম তবে কারো সাথে তেমন পরিচয় ছিলনা আমার সবার সাথে পরিচয় হয় ২০১৫ বই মেলা থেকে সালেক নাছির উদ্দিন ভাই যেদিন উনার পরিচালনায় কবি নিলাঞ্জনা এর দুঃখ ভাসে জলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন বলে সবাইকে দাওয়াত দিলেন সেই দিন থেকে কবি গুরুদের সাথে আমার পরিচয়।  উনার ভালবাসা আমাকে আরো সাহস দিয়েছে তাই ধন্যবাদ জানাই নাছির উদ্দিন ভাইয়াকে । সেইদিনে আমার পরিচয় হয় আমাদের সবচাইতে প্রিয় মানুষটির সাথে বদরুল আহসান খান ।  আমার প্রথম বসার সাহস হল উনার পাশে শুধু বসে ছিলামনা শুনতে থাকলাম উনার জীবনের কিছু কথা । কবিদের সাথে মজা করে যখন বাড়ী ফিরলাম সেই দিন রাতে উনার বলা কথা গুলো স্মরণ করে উনাকে নিয়ে লিখলাম আমার বিদায় যাত্রী কবিতাটি , তখন ছিল রাত ১.২৫ মিনিট রাত ৩ টার দিকে আমার আম্মা আমাকে কল করে বলেন আমার নানা ভাই খুব অসুস্থ বাঁচবে কিনা বলা যায়না । সকাল ৫ টায় আম্মা কল করে বলেন আমার নানা ভাই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন । তখন চিন্তা করলাম আসলে আমি কি ভাবে এই কবিতাটি লিখলাম?  আজই আমার নানা ভাই বিদায়ের যাত্রী হলেন । তাই দাদা ভাইকে নিয়ে লেখা আমার বিদায় যাত্রী কবিতাটি আমার মাঝে সবচাইতে প্রিয় কবিতা। যখন সব কিছু নীরব থাকে আমি তখন কবিতাটি শুনতে চেষ্টা করি । তাই আমি বলবো আমার মাঝে উনি সব চাইতে দামী ব্যক্তি এখন আমার কলম চলে উনার পথ ধরে । আমি প্রতিবাদী কবিতা লিখতে পারতাম না যেদিন উনি আমার ২১ শে ফেব্রুয়ারী কবিতাটি আবৃত্তি করলেন সেই দিন থেকে আমার প্রতিবাদের কলম শুরু হয়। আর এই উনাকে অনুসরণ করে প্রতিবাদ করতে করতে আমার প্রায় ৩০০ কবিতার মাঝে  দেশের কবিতা লেখা হল প্রায় ১০০এর উপর যাহা আমার জন্য কল্পনা করার মত । তবে জানিনা এই পথে আমি থাকতে পারবো কিনা কিন্তু যেখানেই থাকি এই গুণী ব্যক্তিটিকে আমি কোন দিন ভুলতে পারবোনা ।
আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন উনাকে আমাদের মাঝে দীর্ঘ জীবী করেন ।

Thursday, May 21, 2015

REAL FOR YOU -md khorshed alam


REAL FOR YOU
-md khorshed alam   

Do you know?
Everyday you lost your time.
You are coming in door of die.
Every moment call you it may be true or lie.

Do you know?
Now you are so familiar with us
At the time we are forget you
Only accept your produce.

Do you know?
Now relatives cry for you
After sometime they will go
Only you cry for us.

Do you know?
Your sweet heart
Your children, your every good person,
All of member forget you
Only your mother cries for you.

You know man is mortal
So call him who calls you.
Love him who loves you
Because you will die, I will die
At the time every human and world will destroy.






Monday, May 18, 2015

Monday, May 11, 2015

Sunday, May 10, 2015

মায়ের বেদনায় কাঁতর হয়ে কবিতা


মা কেমন আছিস তুই 

কবি মোঃ খোরশেদ আলম 

মা মারে কেমন আছিস তুই ?
কত জনম দেখিনা তোরে দূর দেশে আছি পড়ে  
মন চায় তোর কোলে একটু শুই ।
কত আদর করিতিরে মা আগলে রাখিতি বুকে
চোখের আড়াল হলেরে মা ঘুম ছিলনা তোর চোখে   ।
মা মারে কেমন আছিস তুই যাবি কি  একবার বলে ?

 আজ আর কেহো বলেনা খেয়েছিস খোকা ?
একি তুই খাচ্ছিস না ক্যানরে! বানাচ্ছিস আমায় বোকা ।  
আমি না বুঝলে কে বুঝবেরে খোকা , আমি যে তোর মা
আজ আর কেহ বলেনা মা কেহ বলেনা ।

মা মারে ফিরে আসি আগের মত যেমন ফিরতাম বাড়ী
ঘরে আসলে মনে হয় মা বুকটা যে মোরখালি
শূন্যতা মোর চারি পাশে দেয় ঝিঁঝিঁর মত ডাক 
তুই ছাড়া মা শূন্য হৃদয় শূন্য পথ ঘাঁট ।
মা মারে কেহ এখন আর পিদিম ধরেনা বাড়ী আসতে হয় যদি দেরি
তোরে ছাড়া জমে নারে মা মোর মিথ্যে বাহাদুরি ।

মা মারে শুয়ে থাকি এসে আগের মত অগোছালো বিছানায়
তুই ছাড়া আর কে রাখিবে মা করে সুন্দর বিছানা ।
এখোনো দেখি ভোরের আলো দক্ষিণের জানালা দিয়ে  
কিন্তু তোরে তো দেখিনা মা! আগের মত ফুলের বাগানে
বালতি ভরে জল দিবিনা ফুল বনে।  
চেয়ে থাকি তাই ঐ জানালার পানে ডাক শুনবো বলে তোর  
তোর ডাক ছাড়া কি দেখতাম রে মা, আমি সকালের সেই ভোর ।  

মা মারে এক বার দেখাদেনা আমায় দেখবো তোরে প্রাণ ভরে,  
কত দিন কত মাস কত বছর কত যুগ দেখিনা তোরে
তুই ছাড়া মা শূন্য আমি অনুভবে খুঁজে যাই তোরে ,
মা মারে আসনা মা একবার দেখা দে মোরে ।




Friday, May 8, 2015

শ্রদ্ধা জানাই তোমায়

আজ ২৫ শে- বৈশাখ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ।

Saturday, April 25, 2015

আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা




আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা
© সুনীতি দেবনাথ
১৪ মার্চ / ২০১৫

বহুদিন পরে ক্লেদাক্ত দিনের পরে
আমি আবার তোমাকে চাই তোমাকেই চাই__
সময়ের নোংরা হাওয়া লেগেছে শরীরে
আমি আজ নোংরা হয়ে গেছি ঘিনঘিনে,
কোথায় তুমি লাবণ্যলতা আলোকলতা?
একটিবার এসো আমার হাত ধরো।
আমাকে নিয়ে যাও সেই ঝর্ণার ধারে
যে জলে ডুব আর ডুব অবগাহনে আমি
পরিশ্রুত হবো তারপর হয়ে উঠবো পবিত্র।
তুমি জানো না লাবণ্যলতা এখন এখানে
এমন কোন ক্লেদাক্ততাহীন টলমলে জলাশয় নেই,
এখানে এমন কোন কলস্বিনী নদীও নেই
সুবিমল প্রবাহিত শীতল সুস্বচ্ছ ধারা
যে ধারা সব ধুলোবালি সব ক্লেদ গ্লানি
ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে দেহ আর আত্মা
আমার সকল আমিকে।আমি তারপর
আবার হবো দূর নক্ষত্রের আলোর মতন বিমল।
এবার আমাকে সেই স্বচ্ছতোয়া নিত্যপ্রবাহিনী
অরণ্যছায়ার কলকল্লোলিনী অলৌকিক ধারার কাছে
সেই ঝর্ণার কাছেই আবার যেতে হবে,
জীবনের ওপার থেকে এসো লাবণ্যলতা
হাত ধরো আমার পথ ভুলে গেছি আমি
দিগ্ভ্রান্ত আমি একটিবার এসো নিয়ে চলো
সেই লোকান্তরের অলৌকিক জলবতীর তীরে।
আমি পাথরের সিঁড়ি বেয়ে তরতর নেমে যাবো
আমি লাফিয়ে লাফিয়ে পার হবো জলসিঁড়ি
ধাপে ধাপে নেমে যাবো জলে স্নান করবো আমি।
আজ যখন রক্তাম্বরে ভোর এসে জানালায় তাকালো
তার চোখে হাসির টুকরো ঝিলিকও দেখিনি,
ওরাও এসেছিলো চেনাজানা দোয়েল পাখিরা
ছটফটি ভুলে স্তব্ধ চোখে চেয়ে ওড়াওড়ি করে
চলে গেলো গাইলো না কোন গান,
জানি ওরা আর কোনদিন কোনদিনই ফিরবে না।
অনেক সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত খেয়া পারাপার হলো
সব শেষে রাতের ঠিকানায় পোঁছে গেছি,
আজ আর পারাপার নেই আছে শুধু
স্তব্ধ গতির রুদ্ধ অন্তরের আত্মার ক্রন্দন
অন্ধকারে মিশে থাকা বিশ্রস্ত চলাচল-
আমি আলো হাতে যেতে চাই সেই অস্তাচলে
আলো হাতে যেতে চাই ঝুম অন্ধকারে
যেখানে বাতাসও স্তব্ধ নিস্তব্ধ তমিস্রা,
সেইখানে আলো হাতে স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই
এসো নীরাবতী এসো এই আলোয় এসো
তনু স্নিগ্ধ করো আলোর ধারা অবগাহনে।
এখানে সকাল হবে সেই উজ্জ্বল সূর্য
শত শত রশ্মিজালে তোমাকে আমাকে
সঞ্জীবনী ধারাস্নানে ধুয়ে মুছে বৃষ্টিধোয়া
অলোকলতার মত সোহাগে দোলাবে।
আজ আমার আলো নেই প্রাণের উচ্ছলতা নেই
গতির উদ্দামতাও গিয়েছে হারিয়ে তাই
একটিবার, হয়তো শেষবার লাবণ্যলতা এসো
হাত ধরে এই দুস্তর অরণ্য পেরিয়ে
পথহারা পথ পেরিয়ে নক্ষত্রের অশ্রুঝরা
সুশীতল ধারার কাছে নিয়ে যাও।
ওখানে স্নান করে আমি পরিশুদ্ধ হবো।
আর সেই আগেকার মত দেহ মন সহ
আত্মা আমার স্নিগ্ধতার আবেশে উদ্বেলিত হবে
আমি দীপ্ত হয়ে দৃপ্ত ছন্দে চলেই যাবো
ঐ উপুড় করে রাখা আকাশটর নীচে,
আকাশের অনন্ত আচ্ছাদনে ঘেরা থেকে
আকাশের ছোঁয়ায় দাঁড়িয়ে আমি
আরেকটি বার হয়তো শেষবার
আমি আকাশই হতে চাই আকাশই আমি হবো
লাবণ্যলতা এবার তুমি আকাশের মত এসো।

Thursday, April 23, 2015

আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা


আবৃত্তিঃ বদরুল আহসান খান 
কবিঃ সুনীতি দেবনাথ
কবিতাঃ আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা



Friday, April 10, 2015

এ সপ্তাহের সেরা কবিতায় নির্বাচিত হলেন কবি আমীর উল রুমী




রক্তজবা মুখ
আমীর উল রুমী
------------------------
আরাকানের সদ্যোজাত শিশুর বুকে
জমে আছে রক্তের দাগ
চোখে তার ফুটে আছে রক্তজবা
প্রতিনিয়ত দেখে তারা-
হিংস্র মানবতার মুখ।

শিশুতোষ বৃক্ষ গুলো
রোদের রঙ মেখে-প্রতিদিন ঝরে পড়ে
লোনামাখা সবুজ পাতা
বুকে তার বয়ে যায়
বরফনদীর দুঃখ স্রোত।

জাতিসংগের বিবেক গুলো
মূর্খ দানবের মত পৃথিবীকে করেছে শ্বশ্মান
মানুষের হৃদয়ে পুঁতে রাখা বিষবৃক্ষ
বাতাসে ভেসে আসে লাশের গন্ধ।

মনের চারপাশে অদৃশ্য জালের বেড়া
নিরাপত্তা বলয়ে বারুদের গন্ধ
পারমাণবিক চূলায় পোড়ে মানুষের দেহ
পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে রেখেছে ওরা
দানবের মত কালো হাত।

আমরা চলেছি মৃত্যুর পথে
রাহুর মত নিত্যদিন গ্রাস করে
আমাদের সদ্যোজাত শিশুর শরীর
ভিসুভিয়াসের আগ্নেয় মুখে
পুড়ে পুড়ে সবকিছু ছাইবর্ণ হয়ে যায়
দানবেরা ভেঙে দেয় জীবনের ছায়া
ফিরে যায় আবার প্লাবন হয়ে
ওদের ইন্দ্রজাল ছিঁড়ে ফেলে
পালাবার পথে দেখি অন্ধকার।

মুক্তির জয়গান গেয়ে জেগে উঠো---
নিঃসহায় নিঃশ্ব মানুষেরা
মেঘের পরতে দেখো সূর্য হাসে
শিশুমুখ আলো হয়ে ফিরে আসে
আমাদের ধূলোমাখা উঠোনে
সকল আঁধার শেষ হলে
স্পর্শ করি প্রাভাতের আলো।

Saturday, April 4, 2015

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


বৈশাখ নিয়ে আমার কবিতা , বৈশাখ এসেছে বৈশাখ
আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান 
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


ধবংসের পথে বাংলা


আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান আবৃত্তি করলেন আসরের কবিতা

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম
কবিতাঃ ধবংসের পথে বাংলা





Monday, March 30, 2015

সমুদ্র অভিসারী =========== © সুনীতি দেবনাথ






সমুদ্র অভিসারী
===========
© সুনীতি দেবনাথ
ফেব্রুয়ারি ২৩।। ২০১৫।।
পেরুর উপকূলে ওরা উড়ত ডানা মেলে
রূপোলি ঝিলিক দেয়া বালির উপরে, আর
আটলান্টিক সমুদ্রের নীল সমারোহে
আকাশ উঁকি দিয়ে হেসে উঠত খিলখিল।
পেলিক্যান আর সিগ্যাল পাখিরা
হাজারে হাজারে যে বিপুল গরিমা নিয়ে
সারাদিন উড়ে উড়ে কর্কশ সঙ্গীতে
সমুদ্রের ঢেউয়ে দোলা খেত আর
সোনালি রূপোলি মাছের ঝাঁকে দিত হানা ঝাঁপিয়ে!
তখন সেই কর্কশ সামুদ্রিক সুরে হার মানতো
জুলিয়েটের বারান্দার শেকসপীয়রের সেই
মিস্টি মধুর সুরেলা নাইটিঙ্গেল।
নোয়ার আর্ক থেকে উড়ে চলে যাওয়া সুন্দর কবুতর
ওদের সাহসী ডানার ঝাপটে ম্লান মনে হতো।
আর সেই সব সোয়ালো পাখির
দ্বিখণ্ডিত দীর্ঘপুচ্ছ দীঘল ডানার
শোভন উড়ালও ওদের ডানার ছন্দে
হেরে যেতো, হেরে যেতো
গুস্তাভো আদোলফো বেকোরের বসন্ত বিহারী
পরিযায়ী দীঘল সোয়ালো!
কতকাল কতযুগ ওরা সমুদ্রাভিসারী
উড়েছিল নেচেছিল গেয়েছিল দুরন্ত
উন্মুক্ত জীবনের জয়গান ওরা তা ভুলেছিল,
ভুলেছিল পেরুর বাসিন্দা।
সমুদ্রের তীরে ভারে ভারে স্তুপে স্তুপে
জমেছিল বিষ্ঠার পাহাড়, রোদে পুুড়ে
কেবলই স্পর্ধায় আকাশে তুলেছিল মাথা।
পেরুকে লুণ্ঠণ করে নিয়ে এবার কুচক্রি
সাম্রাজ্যবাদীদের পাখির বিষ্ঠা এটাও চাই,
চাই এই খাঁটি নাইট্রেট
একটুও যাবে না ফেলা —শকুনির লুব্ধ দৃষ্টি
যেমন ভাগাড়ে!
কোন বিজ্ঞানী যে বলেছেন এই বিষ্ঠা নিখাদ নাইট্রেট
গম ক্ষেতে তুলবে ফলনের ভরন্ত তুফান।
ওদিকে য়ুরোপে শূকর মোরগ মাছ চায়
নোনা সমুদ্রের, মাছ দরকার!
পেরুর উপকূল লোভনীয়!
পেলিক্যান সীগ্যালের বংশ পরম্পরার খাদ্যের ভাণ্ডার।
জাহাজ জাহাজ নাইট্রেট নিয়ে গেল
মার্কিনি বণিক, হাজার হাজার জাহাজ
পাখিদের বঞ্চিত করে মুখের গ্রাস নিল কেড়ে —
য়ুরোপে ভেসে গেলো।
সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে য়ুরোপ মার্কিনি
আকাশে আকাশে শীতের ঝরাপাতার
মতন উড়তে লাগল পতপত করে টাকা
টাকা আর টাকা ধনতন্ত্রের পরম রতন!
সার গেল মাছ গেল গেল গেল সব গেল
রয়ে গেল ক্ষুধার্ত মানুষ আর
সমুদ্রাভিসারী হাজারো পেলিক্যান —
কী দুরন্ত মৃত্যুর মিছিল!
মাছুয়া নৌকো ঘিরে পেলিক্যান
উড়ে যায় খাদ্যের টানে সমুদ্র অভিসারে
গভীর থেকে গভীরে
ডানা ভারি হয়ে হায় পড়ে যায়
নিষ্ঠুর সমুদ্র লেখে মৃত্যু পরোয়ানা।
দলে দলে চলে তারা সড়ক ধরে শহরে
ফেরে না তো আর,
লিমার পথে অসংখ্য পেলিক্যান ঘুরে মরে পড়ে থাকে।
আগ্রাসী ধনতন্ত্র রুদ্র রূপে হাসে
গড়ে ওঠে সভ্যতার পতনের ইতিহাস!
পেরুর ভ্রমণকারীগণ, দেখেছো কি
মৃত নগরীর সারি? ঝুলছে এদিকে ওদিকেও
বোবা টেলিফোনের তার
প্রেত নগরীতে রাবিশের স্তুপ মৃত্যুর গহ্বর?
বুজে যাওয়া নাইট্রেট রেলপথ,
বিস্ফোরণে বিস্ফোরণে নাইট্রেট জমিনের কঙ্কাল?
সাদা পাহাড়ের
স্তুপীকৃত জঞ্জালে আচ্ছন্ন নগরী?
ভয়াল শীতের শীতল বাতাসে সেখানে
কবরস্থানে কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্রুশগুলো!
হায়রে সভ্যতা! মৃত্যুর ওপার থেকে
চেয়ে থাকে পাখি আর মানুষের চোখ!

বৈশাখ এসেছে বৈশাখ - মোঃ খোরশেদ আলম


বৈশাখ এসেছে বৈশাখ

বৈশাখ এসেছে সবার ঘরে বৈশাখ , হ্যাঁ বৈশাখ !  
রমনার বট মূলে দেখো বসেছে মেলা,  
কিশোর কিশোরীরা ঘুরছে দেখো ঝাঁকে ঝাঁক, হ্যাঁ বৈশাখ!  

বৈশাখ এসেছে নিয়ে দেখো নতুন কথা
দোকানের দোকান্দার খুলছে বৈশাখী হাল খাতা।
দেখো মিলন মেলায় চলছে তাঁদের কেনা বেচার হাট, হ্যাঁ বৈশাখ !

বৈশাখ লেগে আছে দেখো কিশোরীর শাড়ীর আঁচলে
পা দুখানি লাল করে বলছে বৈশাখ আজ বৈশাখ ।
দেখো ঝুমঝুম শব্দ নিয়ে আসছে বৈশাখ ঐ কিশোরীর পায়ে , হ্যাঁ বৈশাখ!

বৈশাখ এসেছে বলে রমণী বদলেছে তার রূপ
স্বামীর কাছে এসে বলে লাগছে কি খুব ?
বৈশাখ এসেছে আজ বৈশাখ, হ্যাঁ বৈশাখ!  

বৈশাখে দেখো হিন্দু পরিবার
নাচে গানে ব্যকুল তারা পাবে কি আবার !
বৈশাখ এসেছে আজ বৈশাখ, হ্যাঁ বৈশাখ !  

বৈশাখ এসেছে ! এসেছে বৈশাখ !
চারদিকে ঝরে পড়ছে বাতাসে ঝরা পাতা
মুছে দিতে ক্লান্তি বেদনায় ভরা জ্বালা।
বৈশাখ এসেছে আজ বৈশাখ ! হ্যাঁ আজ বৈশাখ !

কে কোথাই আছো!
দেখে যাও ! আজ দেখে যাও !
বৈশাখ এসেছে বৈশাখ , হ্যাঁ বৈশাখ !
হা-হা-হা বৈশাখ আজ বৈশাখ ।

Sunday, March 29, 2015

সোনার তরী

 কবিতারটির মাঝে পাওয়া যায় জীবনের অনেক কিছু.....................।

সোনার তরী
 - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা
কাটিতে কাটতে ধান এল বরষা।

একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা
চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়া-মসিমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাত বেলা
এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।

গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলিনিরুপায়
ভাঙে দু ধারে –
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।


ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কুলেতে এসে।

যত চাও তত লও তরণী, পরে।
আর আছে? আর নাই, দিয়েছি ভরে।
এত কাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলই দিলাম তুলে
থরে বিথরে –
এখন আমারে লহো করুণা করে।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-ছোটো সে তরী
আমারই সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শুন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
 

আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান

আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান কে নিয়ে আমার লেখা কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি নিজেই

Saturday, March 28, 2015

কবিতাঃ আবৃত্তিঃ বদরুল আহসান খান কবিঃ সুনীতি দেবনাথ

kobitar asorer upodesta suniti debonather kobita 

 

কবিতাঃ আবৃত্তিঃ বদরুল আহসান খান কবিঃ সুনীতি দেবনাথ কবিতাঃ সে


কবিতার আসরের উপদেষ্টা কবি সুনীতি দেবনাথের কবিতা,
 আশা করি সবার ভালো লাগবে । 



md Khorshed Alam—21seh February


শহীদ ভাইয়েরা তোমরা চির অমর


রক্তক্ষরণের পর


রক্তক্ষরণের পর
"""""""""""""'"""""""""""""""
শিমুল অাহমেদ
সবকিছুতে অামার এমন
স্মৃতির গন্ধ লাগে কেন?
মনের থেকে ও দয়াময়
কিছু স্মৃতি মুছে দেন।
সবকিছুতে অামার এমন
তোমার তুমি থাক কেন?
নদী ও তো ভাঙ্গে রাধা
জলের কিছু অণু ধ্যান।
অষ্ট প্রহর বুকের ভেতর
নষ্ট লগ্ন লাগনের পর
শূণ্য শূণ্য লাগে কেন?
অনুতাপ এই হৃদয় বেলায়
তোমার চপল চরণ চলায়
পড়ে থাকে ধূলোর ধ্যান।
সবকিছুতে অামার রাধা
তোমার হৃদয় লাগে কেন?
একটু সরে দাঁড়াও গো রাই
জীবন যেন পায় ফিরে প্রাণ।
২৮/০৩/২০১৫ইং
অাদর্শ সদর, কুমিল্লা
নিজবাসভূমে।

কত কাল


কত কাল
- মোঃ খোরশেদ আলম
কত স্বপ্ন দেখছি তোমায় নিয়ে
কত আশা রেখেছি স্বপ্ন করে
কত স্বপ্ন পিছু ছোটে মরীচিকা হয়ে
কত দেখছি একা হয়ে চাঁদ ।
কত ভালবাসার ছড়াছড়ি দিচ্ছে এসে হামা গুড়ি
কত উড়ছে আকাশে রঙিন ঘুড়ি
কত বাতাসের সাথে উড়ছে শুকনো পাতার দল ।
কত কাঁদবে হৃদয়ের বোবা কান্না
কত ঝরবে অজর ধারায় চোখের জল
কত ব্যকুলতা ঘুরে ফিরে যাচ্ছে, পায় না বলে তোমার সোরগোল।
কত থাকতে হবে একা
কত বলবো স্মৃতির সাথে গোপন কথা
কত কাল আর কত কাল ।

স্বাধীনতা তুমি ধন্য"


"স্বাধীনতা তুমি ধন্য"
- লতিফুল হাসান
স্বাধীনতা!তুমি কি জানো?
কত রক্ত ঝরেছে তোমার জন্য!
কত মা কান্নায় বুক ভাসিয়েছে
তার সন্তানের জন্য,
স্বাধীনতা!তুমি কি জানো?
কত নদী হারিয়েছে তার স্রোত
থেমে গিয়েছে তার গতি!
স্বাধীনতা!তুমি কি জানো?
তোমার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে রন্জিত করেছিল রাজপথ,
তারা কারা!
তুমি দাওনি কো তবু সাড়া।
স্তব্ধ ছিল কন্ঠ তোমার
নির্বাক ছিল দৃষ্টি,
পুরাতনকে ঝেরে ফেলে দিয়ে
নতুনকে করেছ সৃষ্টি।

তরী


তরী
--কবীর সরকার
স্রোত আমায় ভাসিয়ে নিল
দূরে বহু দূরে,
আসিয়াছি মহাসাগরে
কত যুগ অতিক্রম করে।
কত গভীর, কত জল
আমার তরী হল তল
মাঝ সাগরে,
স্রোত আমায় ভাসিয়ে নিল
দূরে বহু দূরে।
আমার আবার যেতে হইবেযেখান থেকে আসা,
তরী ডুবিল যাওয়ার নেইকোন আশা।।
তবুও যেতে হইবে ছেরেএই ভুবন
ডুবিয়া থাকিব আমি আর কতক্ষণ ,
ডুবিয়া থাকিব আমি কত যুগ জনম ----

।।ঘেন্না।।


।।ঘেন্না।।
-সাঈফ ফাতেউর রহমান
তুমি তো খুনি-রাজাকার ছিলে নানা,
আগে তো বুঝতামনা কোন কিছু,ভাল লোক বলেই জানতাম,
নামাজ-কালাম পড়ো,রোজা রাখো ত্রিশ দিন,হজ্ব করেছো,
মাঝে মাঝে মিলাদ দাও,জিকির আজগর করো,ওয়াজ-নসীহতে
যাও,ইসলামী জলসায় বয়ান শোন,নিজ গ্রামে মাঝে মাঝে
নিজেও বয়ান দাও।অনেক জমি-জিরাত তোমার,পুকুর-দীঘি,মাছ চাষ,
চাঊলের কল,আটার কল,তেলকল,পানের বরজ,হাঁটের ইজারা,ঘাটের
ইজারা,আরো কত কিছু যে আছে তোমার,সব তো আমি কেন,মা-ও
জানেনা।বিশাল এলাকা জুড়ে,গ্রামে কি-বিরাট পাকা বাড়ী,বিদ্যুৎ,নিজস্ব
জেনারেটর,সৌরচুল্লি,সৌরবিদ্যুৎ,আধুনিক সব উপাচার।আরব্য রজনীর
দৈত্য করে দিয়েছে এসব?
টেলিভিশন-ফ্রিজ-মোবাইল তো ডালভাত,বিশেষ আয়োজনে
বাড়ীর সীমানা পুরোটাই ওয়াইফাই।
মা তোমাকে সহ্য করতে পারেনা কোনদিনই,নানীও না,বাবা তো
কোনদিনই যায়না তোমার বাড়ী,মা-ও না,আমাকেও পাঠাতে চায়না তারা,
তোমার দাপটে কথা বলতে ভয় পায় লোকে,তবে বড় হয়ে ফিসফাসের অর্থ
তো বুঝে গেছি;ঘৃণা করে তোমাকে গাঁ-আশেপাশের লোকজন,যা কিছু আজ
হয়েছে তোমার,পাপ-পথে উপার্জিত সবকিছু;
শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান ছিলে একাত্তরে-সব সম্পদ-জমি লুটের ফসল,ধর্ষক
ছিলে তুমি নিজেও,পাকি-পশুদের হাতে তুলে দিতে নারীর সম্ভ্রম,এমনকি
নিজ পাড়া,নিজ গ্রাম,আত্মীয়া নারীদেরও রেহাই দাওনি তুমি;স্বাধীনতার পর
পলাতক ছিলে দীর্ঘদিন;বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তোমাদের ত্রাণকর্তা ক্ষমতা
দখল করতেই নকুল থেকে রাতারাতি হয়ে গেলে বাগডাশ।ফিরে পেলে আসল
স্বরূপ;এখন দক্ষ-অভিনেতা,সেজেছো ধার্মিক,জনসেবী,দাতা,জন প্রতিনিধি।
সে সময়ের অনেকেই বেঁচে নেই,বিপর্যস্ত অনেকেই জীবন সংগ্রামে,স্থানান্তরে
গিয়েছে কেউ কেউ,অনেকেই ভয়ে খোলেনা মুখ;এখন দাপুটে মানুষ তুমি,
শুধু একমাত্র সন্তান-আমার মা,তার পুত্র আমি,আমার পিতা,আমাদের সমূহ
ঘৃনা তোমার জন্য নিশিদিন,নানীতো দুঃখে-লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন বহু আগে।
লুটের সম্পদ,অর্থ,বাড়ী-ক্ষেত,কবরে নিয়ে যেও,যদি পারো,অনেক ক্ষমতা তোমার!

" নজরুল "


" নজরুল "
************
(- কৃপা অাচার্য)
----------------
বিদ্রোহী বীর...
চির উন্নত শির-
রণসঙ্গীত শুনি বাতাসের ভাঁজে
ভাঁজে
পদ্মা-যমুনাতীর...
কোথায় তার
স্বপ্ন-সাধ...
চিরবিস্ময়ের দেশে
সাম্যবাদের গান,
বিপ্লবী শ্লোগান অবশেষে...!
দারিদ্র্য তোমাকে করেছে মহান
বুঝেছো ক্ষুধার জ্বালা,
রুটির দোকানের দুখুমিয়া
একদিন ভেঙেছো শিকলতালা...
বুঝেছো তুমি শোষিতের কষ্ট,
ধরেছো মুঠি কঠোর হাতে...
ঘুমহীন সৈনিক
তুমি সারাদিনে-রাতে...
নিরলস তুমি, গানের পাখি
ডেকে যাও সবাইকে নতুন প্রভাতে
...সে ডাক ছুটে রণে ও প্রেমে,
দূরে...বহু দূরত্বে...।
প্রেমের পুরুষ কখনও তুমি
বাঁজাও বাঁশি সঞ্জীবনে-
' রাধা...রাধা...' সুরে-সাধনে
ছন্দে-ছন্দে... নৃত্যে-গানে।
মুখে পাই তোমার সত্যের গান,
গণমানুষের তুমি কেড়েছো প্রাণ...
ধুমকেতু তুমি বিশ্বের আকাশে...
জাগবে আবারও নিপীড়িতরা
সমৃদ্ধ চেতনায় বিদ্রোহী বাতাসে...।
নজরুল,
গেঁথেছো কতো মাল্য...কুড়িয়েছ
ো ফুল-
দোলনচাঁপা,জুঁই, চামেলি,
শিউলি,বনফুল।
প্রেমের বাঁধন কতো গুঞ্জন...
পাপিয়া তুমি,তুুমি বুলবুল
শেষ হবে না তোমার গীতমালা
...গানের পাখি নজরুল।
কতো ফরিয়াদ করেছো করজোড়ে
বিধাতার দরবারে তুমি,
তবুও ধরনী হয়নি মুক্ত
... আমাদের জন্মভূমি ;
তোমার শ্লোগানে করি সংগ্রাম
পথ- প্রান্তর সবখানে,
ধর্মাশ্রয়ী শকুনের দল
লালসার জিহ্বা ধর্মস্থানে,
...সম্পদচোর-শোষক-বজ্জাত
রন্ধ্রে রন্ধ্রে সবখানে ।
...জাগো নজরুল,
আবার জাগো,হানো আঘাত...করো
দ্রোহ
...কাঁপাও মাটি
...ভেঙে যাক ওদের ঘাটি,
ধরতে হবে শাবল-হাতুড়ি
ধরতে হবে কুঠার-খড়্গ
...ধুলিস্মাৎ হোক রাবণের মাথা
...ছিন্ন হোক ওদের মোহ ।
*****:

আদরের ছেলে খোকা

আদরের ছেলে খোকা
- মোঃ খোরশেদ আলম
আমার আদরের ছেলে খোকা, 
ওকে দেখে আমার অতীত কে ভুলে থাকি, 
ওকে দেখে আমি নতুন কিছু দেখি ।
ওর বাবা গেল সেই ভাষা আন্দলনে 
আর ফিরে আসলো না , 
অনেক খুঁজে ছিলাম, ঢাকার অলি গলিতে , 
পাওয়া গেলনা ।
অবশেষে তাকালাম তার আর আমার স্মৃতির দিকে 
আমার ছেলে খোকা। 
আমার স্বামীর আশা , 
খোকা কে নিয়ে আমার সামীর অনেক আশা।
আমাদের খোকা একদিন বড় হবে, 
সবাই তাকে মানবে, 
তাকে নিয়ে লিখবে অনেক কবিতা , 
অনেক গল্প আর গান, 
যা দেখে জুরাবে আমাদের প্রান।
কেন জানি খোকা আজ 
আমার সাথে করলো রাগ , 
খোকার সে হাসি আর কেন দেখিনা ? 
আমার খোকা তো যুদ্ধে গেল 
আসবে আবার ফিরে , 
তবে কেন আসছেনা ?
তার জন্যে বসে আছি আমি 
এটা সেটা আরো কত কিছু নিয়ে দামী দামী। 
সাজিয়ে রেখেছি ,কখন যেন খোকা এসে বলে 
আমি ক্ষুধার্ত খেতে দাও আমায় ।
অনেক দিন হয়ে গেল , 
আমার খোকা আজো ফিরে আসছেনা কেন? 
কত মায়ের সন্তান বাড়ি ফিরলো 
তবে আমার খোকন কোথায় গেল ?
পাগলের মত বাজছে কান্নার বাঁশি 
থেমে গেছে পাগল মায়ের হাসি । 
আদরের খোকা গেল বুঝি, 
ওর বাবার মত বানের জলে ভাসি ।

প্রার্থনা


হে প্রিয় জগত বাসী।
সৃষ্টি আজ সেবক চায়।
মানুষ চায় শান্তি।
মানবতা চায়
তাহার বিকাশ।
আর শান্তি চায়
তাহার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা।
আমরা সবাই মানবতাবাদী।
মানবতা প্রতিষ্ঠাই আমাদের সাধনা।
আমাদের কাছে প্রতিটি মানুষের মান সমান।
যাহা সত্য
যাহা ন্যায়
যাহা সুন্দর ও
যাহা শান্তিময়
তাহাই আমাদের কাম্য।
অসত্য অন্যায়
অসুন্দর ও অশান্তির বিরুদ্ধেই আমাদের বিদ্রোহ।
সৃষ্টি কর্তার প্রশংসা করা।
পিতা মাতার সেবা করা।
মানবতা রক্ষা করিয়া চলা।
এবং সদা সর্বদা কাজ করাই আমাদের ধর্ম।
প্রতিটি মানুষের সাথে
বিশ্বাস ভক্তি শ্রদ্ধা স্নেহ সাহায্য সহযোগিতা
সংযম ও সমতা রক্ষা করিয়া চলাই আমাদের কর্তব্য।

Friday, March 27, 2015

স্বাধীনতা


স্বাধীনতা
### মো. শামীম ইসলাম ###
স্বাধীনতা মানে একটি নিশান
ভূয়িষ্ট জনতার ইপ্সিত তৃণাসন।
স্বাধীনতা মানে প্রশস্য শক্তি
অদম্য নির্ভীক নেতার যোক্তিক উক্তি।
স্বাধীনতা মানে মুক্ত বিহঙ্গ
অশান্ত সমুদ্র্যের উচ্ছসিত তরঙ্গ।
স্বাধীনতা মানে অঙ্গনার নৃত্য
ক্লান্তির পর পরিপূর্ণ করে চিত্ত।
স্বাধীনতা মানে বিরাট সফলতা
যেখানে থাকে সাহসী সৈনিকের বীরত্বের গৌরবগাথা।
স্বাধীনতা মানে চূড়ান্ত সাধ
কবি সাহিত্যিকের বিচরণ অবাধ।
স্বাধীনতা মানে শৃংখলমুক্ত জীবন
কোটি মানুষের সুখের প্লাবন।

প্রেমের তরী

আমার কবিতা আবৃত্তি করলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ট আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান ।

দেশের জন্য আমার কবিতা

দেশের জন্য আমার কবিতা


কেমন হলো বন্ধুরা  

স্বাধীনতা

স্বাধীনতা তুমিকি দেখেছ?
হানাদার বাহিনীরা এসেছিল সে
ভয়াল মার্চের রাতে,
উপড়ে পড়েছে বাংলার উপর
প্রচন্ড আঘাতে।
স্বাধীনতা তুমিকি দেখেছ?
লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে
ছাড়িয়া আসিয়া নিড়,
হাসতে হাসতে বিলাতে জীবন
ডরেনি কবু বীর।
স্বাধীনতা তুমিকি দেখেছ?
লড়তে গিয়ে লাশহয়েছিল পাক
বাহিনীর হাতে,
ভাইয়ের মৃত লাশ কাঁধে নিয়ে
লড়েছিল ভয় করেনি তাতে।
স্বধীনতা তুমিকি দেখেছ?
এক সাগর শনিতের পোয়ারা যখন
বয়েছিল এ দেশে,
স্বাধীন হবে বলে তবুও দিয়েছে
জীবন মুক্ত মনে হেসে।
স্বধীনতা তুমিকি দেখেছ?
একটি মাত্র ছেলেকে ও মা
পাঠিয়েছিল যুদ্ধের মাঠে,
স্বধীনতা পেতে ভুলেছ ছেলেকে
চাপিয়া বালিশ হার্টে।
স্বধীনতা তুমিকি দেখেছ?
বিধবা বউ আর ছেলে মেয়েদের
কান্নার করুন সুর,
ঝলসে গেছ্ ,ভষ্মে গেছে সব সে
সুর গেছে যত দুর।
স্বাধীনতা তুমিকি দেখেছ?
পাক বাহিনীর তপ্ত ভুলেটে
হয়েছিল যখন লাশ,
পাশের ভাইয়েরা ডরেনি কবু
স্বাধীন হওয়ার ছাড়েনি আশ।
স্বধীনতা তুমিকি দেখেছ?
লক্ষ লক্ষ নারীরা যখন হারিয়েছে
তাদের মান,
বীরের জাতী ডরেনি কবু ,ভাবেনি
কবু,হারেনি কবু করেছে তা বরন।
স্বাধীনতা তুমিকি দেখছ?
বাগান ভাঘাড়ের প্রানিরা যখন
ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছিল লাশ,
তখনতো তারা সংগ্রাম করেছিল
লাঠি সোটা দিয়ে বাঁশ।
স্বাধীনতা তুমিকি দেখেছ?
এক বুলেটে হত্যা করত দাড়ায়ে
সারি সারি,
ভয় না পেয় ঝাপিয়ে পড়ছে তবুও
উন্নত শির নাড়ি।
নয়টি মাসের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধ
যখন শেষ,
ডিসেম্বরের ষোল তারিখ পেলাম
স্বধীন দেশ।

লিখেছেন -

            সৈয়দ মহিউদ্দিন