আমাদের জীবনে কত কিছু হয়ে থাকে, কত ব্যথা কত বেদনা কত আশা কত সুখ দিয়ে সাজাই আমরা আমাদের জীবন আর এই জীবন কাহিনী নিয়ে আমাদের এই আয়োজন আপনি চাইলে দিতে পারেন আপনার জীবনী আমাদের মাঝে ।
আলাপন-২, কবিতার আসরের সহ-এডমিন কবি সোহেল ফকির ।
কিছু কথা,,, আমি সোহেল ফকির,,কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থানার অন্তর্গত হাপুরখারা গ্রামে আমার জন্ম,১৯৮৩ শিশু কাল মায়ের কোলে ভালবাসায় কিশোর,, প্রাথমিক পড়াশোনা করতে হয় সপরিবারে মামার বাড়িতে থেকে ছোট্ট থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় প্রচুর নেশা,,,সব সময় মায়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে ছুটে যেতাম খেলার মাঠে,,,রাতে ফিরলে বকুনি খেয়ে পড়ার টেবিলে বসা,,সংসারের অনেক টানাপুড়ার মাজে দশম শ্রেনা শেষ করি ২০০১ সালে,সংসারের অভাবের কারনে আর লেখা পড়া হয়ে উঠেনি, শুরু হয় কর্ম জীবন টেইলারি কাজ দিয়ে শুরু, কিছু দিন যাবার পর টেইলারি কাজ ছেড়ে রিক্সাই হলো একমাত্র সম্বল,,, তার মাজে মা নামের মমতার সিন্ধুটি পৃথিবী ছেড়ে পাড়ি দিলো ও পারে,, পাঁচ ভাই,এক বোন সবই আমার ছোট্ট বলে তাদের দেখাশুনা আমার সামলাতে হয়,,অনেক ঘাত প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে তাদেরকে মানুষ করতে হয় আমাকে,,,,,জীবন অগুছালো ভাবে আরো কত কিছু করতে হয় আমাকে,,, এবাবেই চলতে চলতে পাড়ি জমাই একদিন প্রবাসে,,,, আজও প্রবাস জীবনে আছি কবে দেশে ফিরবো হয়তো তাও যানা নেই,,,, আজ আরো দুটি কথা,,, বর্তমান ফেইসবুক দিয়েছে আমাকে নতুন এক জীবন যে জীবনে মানুষের প্রতি ভালবাসার স্মৃতি টুকু থেকে যায় মনের অজান্তে,,,,,আরো পেয়েছি বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের সুনামধন্য আপনাদের মত কবিদের যারা মানুষের হাতে তুলেদেন শিহ্মার আলো,,,, আপনাদের সাথে মিশতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি,,, আমি লিখতে পাড়িনা তবে আপনাদের লিখা পড়তে বেস ভালো লাগে,,, উৎসাহিত হই নিজে কিছু লিখার যানিনা আমার লিখা আপনাদের পাশে ঠাই পাবে কি না,,দয়াল ভরসা
জীবন আলাপন-১ আমাদের কবিতার আসরের সহ-প্রধান এডমিন কবি মুহাম্মদ রশিদ
আসসালামু আলাইকুম।সম্মানীত প্রাণপ্রিয় ভাই ও বোনেরা প্রীতি ভরা শুভেচ্ছা নিবেন।
আশা রাখি বিধাতার অশেষ কৃপায় ভাল আছেন।
আল্লাহর রহমত আমার নিত্য সঙ্গী।
বন্ধুরা আমার ব্যক্তি জীবনের কিছু অধ্যায় আপনাদের সামনে পেশ করা জরুরী বলে আমি মনে করছি।
আমার জন্ম কক্স বাজার জেলার মহেশ খালী থানার বড় মহেশ খালী ইউনিয়নের বড় ডেইল গ্রামের অত্যন্ত গরীব এক বিরাট পরিবারে।
আমরা সাত ভাই সাত বোন।
দুই ভাই পরপারে বাকীরা সবাই সক্রিয়।
বাবা স্বর্গবাসী মা জননী এখনো স্নেহদাত্রী হয়ে আমাদের মাঝে ভালবাসা বিলিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাথমিকে পড়ার সময় বাবা চাইলেন পড়া বাদ দিয়ে সংসারের রোজগারে শামিল হই।
কিন্তু মা চাইতেন আমি লেখা পড়া চালিয়ে যাই।
আমার ও প্রচণ্ড ইচ্ছা তাই।
তখন মা বুদ্ধি করে আমাকে পাশের ইউনিয়নে এক মাদ্রাসায় ভর্তি হবার পরামর্শ দেন।
তখন আমার বয়স দশ।
আমি বাবা জানতে না পারে মত লুকিয়ে একা দশ মাইল দুরে হেঁটে গিয়ে ঐ মাদ্রাসায় ভর্তি হই।
থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হল এক বাড়িতে সকাল সন্ধ্যা ছাত্র পড়িয়ে।
বই খাতা কলম পোষাকাদির খরচ ও নিজের যোগাড় করতে হয়।
বাড়িতে যাই না ভয়ে বাবা জানি আবার কাজে লাগিয়ে দেয়!
মা ও বলে দিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি বাড়ি না আসতে।
বাড়ী হতে এক টাকার সহযোগিতা ও পাই না।
তারা দেবে কি করে তারা ও কঠিন আর্থিক অনটনে জীবন চালাচ্ছিল।
অতিরিক্ত ভাল ছাত্র ছিলাম বলে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ আমার মাসিক ফি মওকুফ করে দেন।
আর নতুন বছরে নতুন বই ফ্রি দেন।
এমন কি দাখিল পরীক্ষার রেজিষ্টেশন সহ পরীক্ষার সময় গ্রাম হতে শহরে গিয়ে পরীক্ষা শেষ করে ফিরে আসার যাবতীয় খরচ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বহন করেন।
শহরে এসে আলিয়া মাদ্রাসা হতে আলিম পাশ করার পর আমার মাদ্রাসা লাইনের লেখাপড়ার উপর বিতৃষ্ণা জন্ম নেয়।
তাই মোল্লা সাজানোর বাবা মায়ের শত প্রচেষ্টা বিসর্জন দিয়ে ভর্তি হই কলেজে।
১৯৯৩ সালে কক্স বাজার জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্স বাজার সরকারী কলেজ হতে বি,এ,পাশ করি।
তারপর বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে আজ আপনাদের মাঝে কবিতার আসরে।
ধান ভানতে শীবের গীত গাইলাম এই কারণে.....
বন্ধুরা আমি একটা সত্য আপনাদের কাছে পরিষ্কার রাখতে চাই যেন পরে কথা না উঠে।
আর তাহল.....
আমি কবি নই।
কবিতার ক ও আমি বুঝি না।
আমি যে সমস্ত লেখনী পোস্ট করেছি তার একটা অক্ষর ও আমার লেখা নয়।
এই বাণী আমার দয়াল "গোলাম মেহুদী হাসান" এর।
আর আমি দয়ালের বাণী আর আমার বাণীর মধ্যে কোন পার্থক্য অনুভব করি না।
No comments:
Post a Comment