Saturday, April 25, 2015

আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা




আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা
© সুনীতি দেবনাথ
১৪ মার্চ / ২০১৫

বহুদিন পরে ক্লেদাক্ত দিনের পরে
আমি আবার তোমাকে চাই তোমাকেই চাই__
সময়ের নোংরা হাওয়া লেগেছে শরীরে
আমি আজ নোংরা হয়ে গেছি ঘিনঘিনে,
কোথায় তুমি লাবণ্যলতা আলোকলতা?
একটিবার এসো আমার হাত ধরো।
আমাকে নিয়ে যাও সেই ঝর্ণার ধারে
যে জলে ডুব আর ডুব অবগাহনে আমি
পরিশ্রুত হবো তারপর হয়ে উঠবো পবিত্র।
তুমি জানো না লাবণ্যলতা এখন এখানে
এমন কোন ক্লেদাক্ততাহীন টলমলে জলাশয় নেই,
এখানে এমন কোন কলস্বিনী নদীও নেই
সুবিমল প্রবাহিত শীতল সুস্বচ্ছ ধারা
যে ধারা সব ধুলোবালি সব ক্লেদ গ্লানি
ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে দেহ আর আত্মা
আমার সকল আমিকে।আমি তারপর
আবার হবো দূর নক্ষত্রের আলোর মতন বিমল।
এবার আমাকে সেই স্বচ্ছতোয়া নিত্যপ্রবাহিনী
অরণ্যছায়ার কলকল্লোলিনী অলৌকিক ধারার কাছে
সেই ঝর্ণার কাছেই আবার যেতে হবে,
জীবনের ওপার থেকে এসো লাবণ্যলতা
হাত ধরো আমার পথ ভুলে গেছি আমি
দিগ্ভ্রান্ত আমি একটিবার এসো নিয়ে চলো
সেই লোকান্তরের অলৌকিক জলবতীর তীরে।
আমি পাথরের সিঁড়ি বেয়ে তরতর নেমে যাবো
আমি লাফিয়ে লাফিয়ে পার হবো জলসিঁড়ি
ধাপে ধাপে নেমে যাবো জলে স্নান করবো আমি।
আজ যখন রক্তাম্বরে ভোর এসে জানালায় তাকালো
তার চোখে হাসির টুকরো ঝিলিকও দেখিনি,
ওরাও এসেছিলো চেনাজানা দোয়েল পাখিরা
ছটফটি ভুলে স্তব্ধ চোখে চেয়ে ওড়াওড়ি করে
চলে গেলো গাইলো না কোন গান,
জানি ওরা আর কোনদিন কোনদিনই ফিরবে না।
অনেক সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত খেয়া পারাপার হলো
সব শেষে রাতের ঠিকানায় পোঁছে গেছি,
আজ আর পারাপার নেই আছে শুধু
স্তব্ধ গতির রুদ্ধ অন্তরের আত্মার ক্রন্দন
অন্ধকারে মিশে থাকা বিশ্রস্ত চলাচল-
আমি আলো হাতে যেতে চাই সেই অস্তাচলে
আলো হাতে যেতে চাই ঝুম অন্ধকারে
যেখানে বাতাসও স্তব্ধ নিস্তব্ধ তমিস্রা,
সেইখানে আলো হাতে স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই
এসো নীরাবতী এসো এই আলোয় এসো
তনু স্নিগ্ধ করো আলোর ধারা অবগাহনে।
এখানে সকাল হবে সেই উজ্জ্বল সূর্য
শত শত রশ্মিজালে তোমাকে আমাকে
সঞ্জীবনী ধারাস্নানে ধুয়ে মুছে বৃষ্টিধোয়া
অলোকলতার মত সোহাগে দোলাবে।
আজ আমার আলো নেই প্রাণের উচ্ছলতা নেই
গতির উদ্দামতাও গিয়েছে হারিয়ে তাই
একটিবার, হয়তো শেষবার লাবণ্যলতা এসো
হাত ধরে এই দুস্তর অরণ্য পেরিয়ে
পথহারা পথ পেরিয়ে নক্ষত্রের অশ্রুঝরা
সুশীতল ধারার কাছে নিয়ে যাও।
ওখানে স্নান করে আমি পরিশুদ্ধ হবো।
আর সেই আগেকার মত দেহ মন সহ
আত্মা আমার স্নিগ্ধতার আবেশে উদ্বেলিত হবে
আমি দীপ্ত হয়ে দৃপ্ত ছন্দে চলেই যাবো
ঐ উপুড় করে রাখা আকাশটর নীচে,
আকাশের অনন্ত আচ্ছাদনে ঘেরা থেকে
আকাশের ছোঁয়ায় দাঁড়িয়ে আমি
আরেকটি বার হয়তো শেষবার
আমি আকাশই হতে চাই আকাশই আমি হবো
লাবণ্যলতা এবার তুমি আকাশের মত এসো।

Thursday, April 23, 2015

আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা


আবৃত্তিঃ বদরুল আহসান খান 
কবিঃ সুনীতি দেবনাথ
কবিতাঃ আমি স্নিগ্ধ হবো লাবণ্যলতা



Friday, April 10, 2015

এ সপ্তাহের সেরা কবিতায় নির্বাচিত হলেন কবি আমীর উল রুমী




রক্তজবা মুখ
আমীর উল রুমী
------------------------
আরাকানের সদ্যোজাত শিশুর বুকে
জমে আছে রক্তের দাগ
চোখে তার ফুটে আছে রক্তজবা
প্রতিনিয়ত দেখে তারা-
হিংস্র মানবতার মুখ।

শিশুতোষ বৃক্ষ গুলো
রোদের রঙ মেখে-প্রতিদিন ঝরে পড়ে
লোনামাখা সবুজ পাতা
বুকে তার বয়ে যায়
বরফনদীর দুঃখ স্রোত।

জাতিসংগের বিবেক গুলো
মূর্খ দানবের মত পৃথিবীকে করেছে শ্বশ্মান
মানুষের হৃদয়ে পুঁতে রাখা বিষবৃক্ষ
বাতাসে ভেসে আসে লাশের গন্ধ।

মনের চারপাশে অদৃশ্য জালের বেড়া
নিরাপত্তা বলয়ে বারুদের গন্ধ
পারমাণবিক চূলায় পোড়ে মানুষের দেহ
পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে রেখেছে ওরা
দানবের মত কালো হাত।

আমরা চলেছি মৃত্যুর পথে
রাহুর মত নিত্যদিন গ্রাস করে
আমাদের সদ্যোজাত শিশুর শরীর
ভিসুভিয়াসের আগ্নেয় মুখে
পুড়ে পুড়ে সবকিছু ছাইবর্ণ হয়ে যায়
দানবেরা ভেঙে দেয় জীবনের ছায়া
ফিরে যায় আবার প্লাবন হয়ে
ওদের ইন্দ্রজাল ছিঁড়ে ফেলে
পালাবার পথে দেখি অন্ধকার।

মুক্তির জয়গান গেয়ে জেগে উঠো---
নিঃসহায় নিঃশ্ব মানুষেরা
মেঘের পরতে দেখো সূর্য হাসে
শিশুমুখ আলো হয়ে ফিরে আসে
আমাদের ধূলোমাখা উঠোনে
সকল আঁধার শেষ হলে
স্পর্শ করি প্রাভাতের আলো।

Saturday, April 4, 2015

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


বৈশাখ নিয়ে আমার কবিতা , বৈশাখ এসেছে বৈশাখ
আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান 
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম


ধবংসের পথে বাংলা


আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান আবৃত্তি করলেন আসরের কবিতা

আবৃত্তিকার -বদরুল আহসান খান
কবি' - মোঃ খোরশেদ আলম
কবিতাঃ ধবংসের পথে বাংলা