একটি রাত সাথে জীবনের গল্প
আমি গর্বিত পেয়েছি বলে তোমার মাঝে ঠাই
আমি উল্লাসিত মাতাল যুবক শান্ত হয়েছি
শুধু পেয়েছি বলে তোমার মাঝে ঠাই
তোমার মহান হৃদয় আমাকে মহান করেছে
তোমার হৃদয়ের ভালবাসা আমাকে শিখিয়েছে ভালবাসা
শিখিয়েছে কলমের ধারা ।
কাল রাতটি আমার কেটেছিল বদরুল দাদা ভাইয়ের বাসায় , আসলে আমি যে উনার এতো কাছে যেতে পারবো তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি । সারা রাত আমার সাথে বসে আড্ডা দিয়েছেন তিনি যেটা আমার মাঝে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে । নিজের জীবনের কিছু কথা আমার সাথে শেয়ার করেছেন আমাকে সামনের পথ গুলো চলতে উৎসাহ দিয়েছেন । আমি যে উনাদের বাসায় একজন অথিতি তা আমার মনেই হলনা । মনে হল উনারা আমার আপন দাদা দাদি , তাঁদের সাথে আনন্দ করতে করতে কোন ফাঁকে যে রাত কেটে গেলো কল্পনাও করতে পারলাম না । জানিনা সামনের জীবনে কি আছে তবে আমি এটাই বলতে পারি যে আমি আমার সাহিত্য জীবনের সঙ্গী পেয়েছি , আমার প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয় যে তিনি আমার সব চাইতে কাছাকাছি । সব চাইতে বড় কথা উনার কণ্ঠে আমার ১০ টি কবিতা আবৃত্তি হয় যাহা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার সাহিত্য জগতে আসা বেশি দিন নয় মাত্র ৮ মাস আর এই আট মাসেই আমার এই সফলতা জানিনা আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন কিনা । আমি যখন কবিতার জগতে আসি তখন আমার সাথে প্রথম পরিচয় হয় কবি শিমুল শুভ্র দাদার সাথে বাংলা কবিতা ডট কম এর মাধ্যমে আর সেখান থেকে আমার পথ চলা । যখন দেখতাম কবি গুরুরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে তখন আমার ও সেই আশা জাগল তাই রাত দিন বসে বসে তখন শুধু কবিতার পাতা ভরতাম আর পোষ্ট করতাম তবে কারো সাথে তেমন পরিচয় ছিলনা আমার সবার সাথে পরিচয় হয় ২০১৫ বই মেলা থেকে সালেক নাছির উদ্দিন ভাই যেদিন উনার পরিচালনায় কবি নিলাঞ্জনা এর দুঃখ ভাসে জলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন বলে সবাইকে দাওয়াত দিলেন সেই দিন থেকে কবি গুরুদের সাথে আমার পরিচয়। উনার ভালবাসা আমাকে আরো সাহস দিয়েছে তাই ধন্যবাদ জানাই নাছির উদ্দিন ভাইয়াকে । সেইদিনে আমার পরিচয় হয় আমাদের সবচাইতে প্রিয় মানুষটির সাথে বদরুল আহসান খান । আমার প্রথম বসার সাহস হল উনার পাশে শুধু বসে ছিলামনা শুনতে থাকলাম উনার জীবনের কিছু কথা । কবিদের সাথে মজা করে যখন বাড়ী ফিরলাম সেই দিন রাতে উনার বলা কথা গুলো স্মরণ করে উনাকে নিয়ে লিখলাম আমার বিদায় যাত্রী কবিতাটি , তখন ছিল রাত ১.২৫ মিনিট রাত ৩ টার দিকে আমার আম্মা আমাকে কল করে বলেন আমার নানা ভাই খুব অসুস্থ বাঁচবে কিনা বলা যায়না । সকাল ৫ টায় আম্মা কল করে বলেন আমার নানা ভাই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন । তখন চিন্তা করলাম আসলে আমি কি ভাবে এই কবিতাটি লিখলাম? আজই আমার নানা ভাই বিদায়ের যাত্রী হলেন । তাই দাদা ভাইকে নিয়ে লেখা আমার বিদায় যাত্রী কবিতাটি আমার মাঝে সবচাইতে প্রিয় কবিতা। যখন সব কিছু নীরব থাকে আমি তখন কবিতাটি শুনতে চেষ্টা করি । তাই আমি বলবো আমার মাঝে উনি সব চাইতে দামী ব্যক্তি এখন আমার কলম চলে উনার পথ ধরে । আমি প্রতিবাদী কবিতা লিখতে পারতাম না যেদিন উনি আমার ২১ শে ফেব্রুয়ারী কবিতাটি আবৃত্তি করলেন সেই দিন থেকে আমার প্রতিবাদের কলম শুরু হয়। আর এই উনাকে অনুসরণ করে প্রতিবাদ করতে করতে আমার প্রায় ৩০০ কবিতার মাঝে দেশের কবিতা লেখা হল প্রায় ১০০এর উপর যাহা আমার জন্য কল্পনা করার মত । তবে জানিনা এই পথে আমি থাকতে পারবো কিনা কিন্তু যেখানেই থাকি এই গুণী ব্যক্তিটিকে আমি কোন দিন ভুলতে পারবোনা ।
আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন উনাকে আমাদের মাঝে দীর্ঘ জীবী করেন ।